স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন মহী দুজনেই সমান ৬৫ করে ভোট পাওয়ায় তাদের নির্বাচন আবার হবে। আগামী ৩১ অক্টোবর এই পদে ফের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে বাফুফের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে দেশের ফুটবলের নেতৃত্বে পুনরায় আসেন বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিন। অপর দুই সভাপতি প্রার্থী বাদল রায় ৪০ ও শফিকুল ইসলাম মানিক ১ ভোট পান। ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন এই ঘোষণা দেন।
সালাউদ্দিনের সম্মিলিত প্যানেল থেকে ৯১ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। একই পদে অপর প্রার্থী সমন্বয় পরিষদের শেখ আসলাম পান ৪৪ ভোট। এ ছাড়া চার সভাপতি পদে সম্মলিত পরিষদ থেকে ইমরুল হাসান ৮৯, কাজি নাবিল আহমেদ ৮১, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
তাবিথ আউয়াল এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সহসভাপতি পদে চারজনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তিনি ১৩৯ জন কাউন্সিলরের কাছেই সমর্থন আশা করেন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে যোগ্য প্রার্থী বলে তাবিথ আউয়াল ৩১ তারিখ ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে মন্তব্য করেন।
এ দিকে ভোট গণনার সময় বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক। তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে অভিযোগ করে মানিক বলেন , ‘যখন ভোটিং হচ্ছিল, তখন আমার থাকার অনুমতি ছিল না। একজন প্রার্থী হিসবে আমি ওখানে যেতে পারিনি। গণনার সময় আমার পক্ষের একজনের উপস্থিত থাকা উচিৎ। না হয় কে দেখবে আমার নির্বাচন ফেয়ার হচ্ছে কিনা। আমার যেহেতু কোনো প্রতিনিধি নেই, তাই আমি ওখানে বসেছিলাম। তারা আমাকে বলে, আপনি আসেন আপনি এখানে থাকতে পারবেন না। এটা আমার প্রতি অবিচার হয়েছে।’
এই নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলর একজন করে সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি, চারজন সহসভাপতি এবং ১৫ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন। নির্বাচনে চট্টগ্রাম আবাহনীর তরফদার মো. রুহুল আমিন, ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মাকসুদুর রহমান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাফওয়ান সোবহান ভোট দিতে আসেননি। অর্থ পাচার মামলায় খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী কারাগারে রয়েছেন। ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি।
বহুল আলোচিত এবারের নির্বাচনে ২১ পদের জন্য লড়েন ৪৭ প্রার্থী। দুটি প্যানেল প্রকাশ্যে নির্বাচনের দাঁড়িয়েছিল। একটি হলো কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর সম্মিলিত ফুটবল পরিষদ, অন্যটি হলো শেখ আসলাম-মহীর নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদে সালাউদ্দিনের বিপরীতে ছিলেন বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক। ভোট শুরুর আগে বাফুফের এজিএম (সাধারণ সভা) অনুষ্ঠিত হয়। কোনো ধরণের হট্টগোল ছাড়াই এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে।